1. friendstvsyl@gmail.com : Hridoye Sylhet : Hridoye Sylhet
  2. info@www.hridoyesylhet.com : হৃদয়ে সিলেট :
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পালাতক মেয়র আনোয়ারজ্জামানকে আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির অনুমোদন বিএমজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটিকে যুক্তরাজ্য বিএনপির অভিনন্দন বিএমজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটিকে সাবেক এমপি মিলনের অভিনন্দন নতুনরা প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন: মিফতাহ সিদ্দিকী ১২ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের উদ্যোগে আজ বাদ মাগরিব কুয়ার পার জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএমজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটিকে জেলা বিএনপির অভিনন্দন মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটিকে জি কে গউছের অভিনন্দন বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠন সিলেটকে দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তরের স্বপ্ন ক্লিন সিটির

পালাতক মেয়র আনোয়ারজ্জামানকে আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে পালতক সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভাদেশ্বরের দক্ষিণ ভাগ এলাকার মৃত মোঃ ছিলিক আলীর পুত্র মোঃ বোরহান উদ্দিন (৪০) বাদী হয়ে ধারা- ১৯০৮ ইংসনের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৪ তৎসহ ধারা- ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/ ১১৪/৩৪ দঃ বিঃ এই মামলাটি দাখিল করেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন : ১। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), পিতা-নওসাদ মিয়া, সাবেক মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সাং-পাঠানটুলা, থানা- জালালাবাদ, ২। শফিউল আলম নাদেল (৫৫) সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ৩। সাজু আহমদ (৩০), পিতা-সাখাওয়াতুল আম্বিয়া, সাকিন-কাদিপুর ৪নং ওয়ার্ড, থানা-গোলাপগঞ্জ, ৪। ফরহাদ আহমদ (২৫), পিতা-মৃত মফিজ উদ্দিন, সার্কিন-কাদির, ৪নং ওয়ার্ড, ১১নং শরীফগঞ্জ ইউ/পি, থানা- গোলাপগঞ্জ, ৫। এনামুল ক এনাম (৩৫), পিতা-লুদু মিয়া, সাং-খাটকাই আটির বাড়ি, ১১নং শরীঞ্জ ইউ/পি, থানা-গোলাপগঞ্জ, ৬। মোঃ শাহীন আহমদ (৪৮), পিতা-মোঃ আব্দুল লতিফ, সাং-বাইশ টিলা, এয়ারপোর্ট রোড, থানা- এয়ারপোর্ট, ৭। সাহাব উদ্দিন (৪০), পিতা-মৃত আংগুর আলী, সাং-কাদিপুর, -মৃত মইজ ৪নং ওয়ার্ড, থানা-গোলাপগঞ্জ, ৮। মুরাদ আহমদ (২৪), পিতা- উদ্দিন, সাং-কাদিপুর, ৪নং ওয়ার্ড, থানা-গোলাপগঞ্জ, ৯। বিজয় ঘোষ (৩৫), থানা- পিতা-প্রদীপ ঘোষ, সাং-চালিবন্দর, ডাকঘর-সিলেট-৩১০০, কোতোয়ালী, ১০। লিটন মিয়া (৩০), পিতা- জামাল মিয়া, সাং-কাদিপুর, থানা-গোলাপগঞ্জ, ১১। নুরুল ইসলাম হেলাল (৪৫), পিতা-আব্দুল শহীদ, সাং-ঘোগারকুল পশ্চিমপাড়া, থানা-গোলাপগঞ্জ, ১২। বেলাল আহমদ (৪০), পিতা-মৃত মুহিবুর রহমান, সাং-রাজাপুর, থানা-বিয়ানীবাজার, ১৩। রুহুল আমিন (৩৬), পিতা-মোঃ রেজা, সাং-দত্তরাইল, থানা- গোলাপগঞ্জ, ১৪। পারভেজ আহমদ (৩৩), পিতা-মনু মিয়া, সাং-দক্ষিণ দত্তরাইল, থানা- গোলাপগঞ্জ, ১৫। সাফওয়ান মিয়া (৩৮), পিতা-সাহাব উদ্দিন, সাং-দক্ষিণ দত্তরাইল, থানা-গোলাপগঞ্জ, ১৬। আব্দুল আহাদ (৪৭), পিতা-মৃত আব্দুর রহিম, সাং দক্ষিণ দত্তরাইল, থানা- গোলাপগঞ্জ, ১৭। আবুল কালাম দিপু (৩৫), যুবলীগ নেতা, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাকিন-মাছিমপুর, থানা- কোতোয়ালী, ১৮। শারমিন আক্তার রুমি (৩৮), যুবলীগ নেত্রী, স্বামী-মঞ্জু মিয়া, সাং-মাছিমপুর, থানা-কোতোয়ালী, ১৯। আব্দুল হান্নান (৫৫), আওয়ামীলীগ নেতা, পিতা-মৃত আওয়াল মিয়া, সাং-মাছিমপুর, থানা- কোতোয়ালী, ২০। মঞ্জু আহমদ (৪২), যুবলীগ নেতা, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-মাছিমপুর, থানা-কোতোয়ালী, ২১। অপি (২৫), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-মাছিমপুর, থানা-কোতোয়ালী, ২২। অমি (২৪), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-মাছিমপুর, থানা-কোতোয়ালী, ২৩। টিপু আহমদ (৩২), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা-আব্দুল হান্নান, সাং-মাছিমপুর, থানা-কোতোয়ালী, ২৪। মোঃ জুয়েল আহমদ (৩৯), ছাত্রলীগ নেতা, পিতা-চাঁন মিয়া, সাং-ভবানীপুর, কৌলা চৌধুরী বাজার, থানা-কুলাউড়া, জেলা-মৌলভীবাজার, হাল সাং- বোরহানবাগ আ/এ, পূর্ব শিবগঞ্জ থানা-শাহপরান, ২৫। সুব্রত দত্ত (৪০), পিতা- সুদাংশু দত্ত, সাং-পিডিডি অফিস, নবাব রোড, বাগবাড়ী, সিলেট, ২৬। সাহেদ আহমদ (৩৮), পিতা-মৃত হিরা মিয়া, সাং-রায়নগর, সোনারপাড়া, থানা- শাহপরান, ২৭। মোঃ সুহেল আহমদ (৩৮), পিতা-বাবুল মিয়া, সাং- ১১৯ উচাসড়ক, নয়াসড়ক, থানা-কোতোয়ালী, ২৮। আব্দুল মুকিত (৩২), পিতা- ওয়াহিদ আলী, সাং-চান্দাই তালুকদারপাড়া, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ২৯। ফারুক আহমদ, পিতা-আব্দুল মজিদ, সাং-নলজুরি, জাফলং, থানা-গোয়াইনঘাট, ৩০। নজরুল ইসলাম (৪২), যুবলীগ নেতা, পিতা-জুবায়ের আহমেদ (ঠান্ডা), সাকিন- তামাবিল, থানা-গোয়াইনঘাট, ৩১। আব্দুল করিম রাসেল (৪৩, যুবলীগ নেতা, পিতা-জাকির হোসেন, সাং-নলজুরি, থানা-গোয়াইনঘাট, ৩২। নজরুল ইসলাম (ছানা) (৫০), কৃষকলীগ নেতা, পিতা-মৃত সাজ্জাদ আলী, সাং-খাটকাই বড়বাড়ী, শরীফগঞ্জ, থানা-গোলাপগঞ্জ, ৩৩। সালাহ উদ্দিন (৪৮), মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, পিতা-মঞ্জু আহমদ, সাং-নিজ জালালপুর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ৩৪। মোঃ জাহেদ আহমদ (বাট্টি জাহেদ), (২৮), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা, পিতা-মৃত আব্দুস সাত্তার, সাং-নিজ জালালপুর, উত্তর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ৩৫। পিতা-নুর কামরুল ইসলাম (৩১) ছাত্রলীগ নেতা, সিলেট মহানগর রনজিৎ গ্রুপ, মিয়া, সাং-নিজ জালালপুর উত্তর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, ৩৬। সরওয়ার হোসেন ছেদু (৫০), পিতা-মকবুল হোসেন, সাং-ছৈলাখেল ৮ম খন্ড, জাফলং, থানা- গোয়াইনঘাট, ৩৭। রাব্বি আহমদ (২৬), পিতা-ছাদেক মিয়া, কোনাপাড়া, মজুমদারী, থানা-এয়ারপোর্ট, ৩৮। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৪২), উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন যুবলীগ, পিতা-আব্দুল রউফ, সাং-নিজ ঢাকাদক্ষিণ, থানা- গোলাপগঞ্জ, ৩৯ । ছায়েদ আহমদ, পিতা- আয়াজ আলী, সাং- পূর্ব ঝাপা বড়পাড়া, থানা- মোগলাবাজার, ৪০। মোঃ আলিম উদ্দিন, পিতা- মৃত শফাতুর রহমান, সাং- মোকামবাড়ী, থানা- জৈন্তাপুর। বর্তমান সং- উপশহর, থানা- শাহপরাণ, ৪১। ওয়াহিদুর রহমান (২৭), পিতা- জামাল উদ্দিন, সাং- মেওয়া নোয়াটি, দুবাগ, পিতা- থানা- বিয়ানীবাজার, উপজেলা যুবলীগ নেতা, ৪২। শাহিন আহমদ (৪৭), আকল আলী, সাং- সুলতানপুর, গহরপুর, থানা- বালাগঞ্জ, সাধারণ সম্পাদক, গহরপুর ইউপি স্বেচ্ছাম্বেবকলীগ, ৪৩। আলী আছকর পাপলু (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল মতিন ডিলার, সাং- মাইজভাগ, সাউথ ভাদেশ্বর, থানা- গোলাপগঞ্জ, সাধারণ সম্পাদক, ৩নং ওয়ার্ড ভাদেশ্বর ইউ/পি আওয়ামীলীগ, ৪৪। মোঃ আলী হোসেন (৪০), পিতা-ছুরত আলী, সাং- পাটলী, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা সুনামগঞ্জ। বর্তমান সাং- ১০৮ মজুমদারী আ/এ, সিলেট যুবলীগ নেতা, ৪৫। খালেদ আহমদ ওসমানী (৩৯), পিতা- মোঃ আমিনুর রহমান, সাং- আল ইসলাহ, বালুচর, থানা- শাহপরাণ, ৪৬। জালাল আহমদ (৩৮), পিতা- মনু মিয়া, সাং- সৈয়দপুর,মেজরটিলা, থানা- শাহপরাণ, তাতীলীগ ক্যাডার, ৪৭। নাজমুল হোসেন (৩২), পিতা- করিম মিয়া, সাং- শাহপরাণ, থানা- শাহপরাণ, ৪৮। আরিফ আহমদ (২৮), পিতা-মনু মিয়া, সাং- জৈন্তাপুর, থানা- জৈন্তাপুর, ৪৯। শাহাব উদ্দিন (৪৫), পিতা- আব্দুল বারী, সাং- মঙ্গাই, সাং- উত্তর কালাবাড়ী, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, ৫০। এনাম মিয়া (৩০), পিতা- মকবুল, সাং- শাহপরাণ, থানা- শাহপরাণ, ৫১। ছিদ্দেক মিয়া (৩৫), পিতা- ফারুক মিয়া, সাং- দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ, থানা- গোলাপগঞ্জ, ৫২। ফাহাদ আহমদ (৩৮), পিতা- হারু মিয়া, সাং- দত্তরাইল, ঢাকাদক্ষিণ, থানা- গোলাপগঞ্জ, ৫৩। বিজয় কুমার দেব ( বুলি), পিতা- জিতেন্দ্র মোহন দেব, সাং- সমতা-৯, চালিবন্দর, ৫৪। হাবিবুর রহমান (৫০), পিতা- মহরম আলী, সাং- চালিবন্দর, উভয় থানা- কোতোয়ালী, ৫৫। সোনা মিয়া, পিতা- মৃত ফরিজ আলী, সাং- কালাইরাগ, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, বর্তমান সাং- সমাজপুর, থানা- মোগলাবাজার, ৫৬। শাহজাহান কবির (৫৫), পিতা- মৃত পিতা- মৃত মইনদ্দিন, সাং- ইনামতি, ৫৭। কাজী নুরুল ইসলাম লুকু, কাজী ইমদাদ আলী, সাং- উত্তরকুল কাজীপাড়া, উভয় থানা- জকিগঞ্জ, ৫৮। মোঃ আল মাহিন সোহান (২৫), পিতা- মেহরাজুল ইসলাম, সাং- জালালাবাদ, থানা- এয়ারপোর্ট, যুগ্ম সম্পাদক, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ, সর্ব জেলা-সিলেট এবং অজ্ঞাতনামা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মৎস্যজীবিলীগ, আসামীগণ তাতিলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ ৯০/১০০ জন।
মামলা সূত্র জানা যায়, গত বছরের ৩ আগস্ট বেলা অনুমান ২.২০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন সুরমা মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ অবৈধ সরকারের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপিড়ন, খুন, গুম, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা একদফা দাবীতে সারাদেশ ব্যাপী ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সাথে বাদীও একমত পোষন করে আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। আসামীরা সিলেট জেলা ও মহানগর সহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীদের সহিত যোগাযোগ স্থাপন ও অর্থ প্রদান করিয়া তাহাদের হুকুমে আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেল ক্রয় করিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে এবং তাহাদের প্রকাশ্যে হুকুমে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ করিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতাসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ অ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। ছাত্রদের ১ দফা দাবীকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের দাবীতে বাদীসহ আরো অনেক লোকজন ছাত্র-জনতার সহিত মিলিত হইয়া ০৩/০৮/২০১৪ইং বেলা অনুমান ২.২০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন সুরমা মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল সমাবেশ করছিলেন। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী বাহিনী উল্লেখিত সমুহ আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা ৯০/১০০ জন আসামীগণকে সাথে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দাঙ্গা হাঙ্গামা হত্যা, খুন, গুম, জনমনে ভীতি সঞ্চর ও আতংক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান, রামদা, ককটেল সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাধনিক মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র প্রদর্শন করিয়া ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহড়া দিতে থাকে। তখন উল্লেখিত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৯০/১০০ জন আসামীগণ বাদী ও ছাত্র-জনতা ঘটনাস্থলে শান্তিপূর্ণ আওয়ামী সরকার পতনের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সমর্থনে মিছিল সমাবেশ করিতেছে জানিতে পারিয়া আসামীগণ ঘটনাস্থলে আসিয়া জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করিয়া আসামীগণের হুকুমে আসামী সাজু, আসামী ফরহাদ,আসামী এনাম, আসামী শাহীন তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষন করিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীগণের ছুড়া গুলি বাদীর ডান হাতে ও বাম পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন আসামী মুরাদ, আসামী বিজয়, আসামী লিটন এবং আসামী হেলাল তাহাদের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ককটেল সরবরাহ করলে আসামীগণ উক্ত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ঘটনাস্থলের এলাকা আতংকিত করিয়া তুলে। ছাত্র-জনতাসহ বাদীকে উদ্দেশ্য করে আসামীগণ তাহাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন তাহাদের ছুড়া গুলিতে একাধিক ছাত্র-জনতা ও বিএনপি যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হইয়া বাদীসহ অনেকেই আহত হইয়া রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলের মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। অন্যান্যরা প্রাণ রক্ষার্থে দিকবিদিক ছুটাছুটি করিতে থাকিলে আসামীগণ তাহাদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করিয়া ঘটনাস্থলের এলাকা আতংকিত করিয়া তাহাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়। অতঃপর পুনরায় আসামীগণ রামদা, লোহার পাইপ, লাঠিসোঠা সহ তাহাদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করিয়া এলোপাতাড়ি ভাবে বাদীসহ আরো অনেককে মারপিট করিয়া হাড় ভাঙ্গা জখমসহ লীলাফুলা জখম করে এবং আসামীগণ ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করার ফলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতা সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার সহিত অংশগ্রহণকারী লোকজন নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য যে যার মতো করে দৌড়াইয়া দিক বেদিক ছুটাছুটি করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া গেলে ঘটনাস্থলের সম্পূর্ণ এলাকা আসামীগণের দখলে চলিয়া আসে। তখন আসামীগণ ঘটনাস্থলে আসিয়া বাদীসহ অন্যান্য ছাত্র-জনতাকে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় দেখিয়া মৃত ভেবে তাহাদেরকে লাথি মারিতে থাকে। বাদী এবং আহত ছাত্র জনতার পাশে দাড়িয়ে জয় বাংলা স্টোগান দিয়ে বলতে থাকে বাংলাদেশের মাটি, শেখ হাসিনার ঘাটি। আসামীগণের এহেন অবস্থা দেখিয়া বাদীসহ আহত ছাত্রজনতা মৃত হওয়ার ভানকরিয়া ঘটনাস্থলে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকেন। এক পর্যায়ে সমুহ আসামীগণ জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া ঘটনাস্থল হইতে সিলেট শহরের অন্যান্য এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতাকে খুন, গুম, হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া সমস্ত সিলেট শহর আতংকিত করিবার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া গেলে অজ্ঞাতনামা একজন সিএনজি চালক ঘটনাস্থলে বাদীসহ অনেককে আহত রক্তাক্ত অবস্থায় দেখিয়া বাদীসহ আহত ছাত্র- জনতার কয়েকজনকে তাহার গাড়িতে তুলে আহত রক্তাক্ত অবস্থায় বাদীসহ কয়েক ছাত্র জনতাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণে ছাড়পত্র না নিয়েই বাদী মেডিকেল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা/টেষ্ট ও চিকিৎসার জন্য বাদী পুনরায় সিলেট সদর হাসপাতালের স্বরানাপন্ন হন। বর্তমানে দেশের পরিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বৈষম্য বিরোধী একাধিক মামলায় আমী হইয়া আত্মগোপনে থাকায় বাদীর মনে স্বস্থি ফিরে আসিলে বাদী আত্মীয় স্বজন এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করিতে গেলে কোতোয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপনের অজুহাতে বাদীর মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরে পরামর্শ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট